মধুমিতা আজ ছেলে রোহনের সাথে শপিং-এ বেরিয়েছেন। কলকাতার এক শপিং মলে ঢুকেছে তারা । রোহনের এই শপিং মল একেবারে হাতের তালুর মত চেনা। প্রায়ই এখানে রোহন ও তার বন্ধু-বান্ধবিরা আসে সময় কাটানোর জন্য। এমনকি এখানে কাজ করে যারা তাদের সাথেও রোহনের ভালো সম্পর্ক। আর এই ভালো সম্পর্কের সুযোগ নিয়েছে রোহনও। সে কথায় পরে আসছি।
কিছু জামা-কাপড় কেনার পর মধুমিতা শপিং মলের বিউটি পার্লারে ঢুকেছে রূপচর্চা করানোর জন্য। রোহন বিউটিপারলারের বাইরে দাঁড়িয়ে স্মার্ট ফোন নিয়ে হোয়াটস্অ্যাপে ব্যস্ত। অবশ্য মাঝে মাঝে চোখ তুলে আশে-পাশের মলে ঘুরতে থাকা মেয়েদের চেখে দেখছিল।
মধুমিতা কলেজে পড়ায়। ৪৮ বছরের ডিভোর্সি । ছেলে কে নিয়ে সাউথ কলকাতার অভিজাত এলকায় নিজস্ব ফ্ল্যাটে থাকেন। ছেলে রোহন ২০ বছর। ইঞ্জিনিয়ারিং পড়ছে, 2nd year. তবে তার এই ২০ বছরের জীবনে অনেক মহিলার সাথেই তার সম্পর্ক হয়েছে। তার গার্ল ফ্রেন্ডের লিস্ট অনেক লম্বা। তার কলেজের বান্ধবী থেকে শুরু করে ফেসবুকে পটানো বৌদি-আন্টি …… অনেকের সাথেই সে শারীরিক সম্পর্ক করেছে।
৩০ মিনিট পরে যখন মধুমিতা বেরালো তখন রোহন মা-এর রূপ এর প্রশংসা না করে পারল না। রূপচর্চার পর তার মায়ের বয়স যেন ১০ বছর কমে গেছে। এখন কেউই মধুমিতাকে দেখলে তার বয়স সঠিক ভাবে আন্দাজ করতে পারবে না।
যাইহোক, এর পর তারা দোতলার ফুডকোর্টে গেল কিছু খাওয়ার জন্য। ফুড কোর্টে ভালোই ভিড়। ওরা একটা কোনে ফাঁকা টেবিল দেখে বসে গেল। যে ছেলেটা খাওয়ার দিয়ে গেল, সে রোহনকে দেখে মুচকি হেঁসে চলে গেল। এমন অনেক মহিলাকেই তারা দেখেছে রোহনের সাথে এখানে আসতে।
বিল মিটিয়ে রোহন এলে, মধুমিতা তাকে জিজ্ঞেস করল – “আরে এখানে ওয়াশ রুম টা কোন দিকে ……জানিস ? “
রোহন – “দাঁড়াও জিজ্ঞেস করে আসছি…”
বলে সেই ওয়েটার ছেলে টির কাছে গিয়ে খানিক কথা বলার পর ফিরে এসে মাকে জানাল, দোতলার ওয়াশরুমে কাজ হচ্ছে। একতলায় আছে…ওখানে যেতে হবে।
আর মধুমিতা লক্ষ্য করল, রোহনের সাথে কথা বলা শেষ করেই সেই ওয়েটার ছেলে টি হন্হন্ করে ফুড কোর্ট থেকে বেরিয়ে কোথায় যেন চলে গেল। এস্কেলেটার দিয়ে নীচে নেমে ওয়াশ রুমের সামনে আসতেই মধুমিতা দেখল, সেই ছেলেটি রুমাল দিয়ে হাত-মুখ মুছুতে মুছতে বেরিয়ে গেল।আর যাওয়ার আগে রোহনের দিকে যেন চোখ মেরে দিয়ে গেল।
রোহন – “এটাই ওয়াশরুম মনে হচ্ছে……তুমি যাও, আমি বাইরে অপেক্ষা করছি !!” বলে রোহন প্যান্টের পকেট থেকে স্মার্ট ফোন বের করে ঘাঁটতে শুরু ক